স্বদেশ ডেস্ক:
আফগানিস্তানে গত তিনমাসের মধ্যে প্রায় ১০ লাখ মানুষ নিজেদের বাড়িঘর ত্যাগ করে বাস্তুচ্যুত হতে হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির জাতীয় মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা। আফগানিস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই হাজার ২৯০টি পরিবার বাস্তুচ্যুত হওয়ায় এদিক থেকে শীর্ষে রয়েছে পূর্বাঞ্চলীয় নানগরহার প্রদেশ। উরোজগানে সবচেয়ে কমসংখ্যক পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
আফগানিস্তান ইন্ডিপেন্ডেন্ট হিউম্যান রাইটস কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে কমপক্ষে এক লাখ ৫৮ হাজার ৩৯২টি পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। হিসাবে দেখা গিয়েছে, প্রতিটি পরিবার থেকে ছয়জন ব্যক্তি গৃহহীন হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হওয়া ব্যক্তিদের সংখ্যা সাড়ে নয় লাখ হবে।’
মানবাধিকার সংস্থাটির পরিচালিত একটি জরিপে দেখা গিয়েছে ৬৮ দশমিক ১ শতাংশ বাস্তুচ্যুতের ঘটনা ঘটেছে দেশের চলমান যুদ্ধাবস্থার কারণে। বাস্তুচ্যুত হওয়ার একটি প্রধান কারণ হিসেবে তালেবানদের সহিংসতাকে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে তালেবান বাহিনী কান্দাহার প্রদেশের বেশ কয়েকটি জেলা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিয়েছে এবং সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে সেখানকার এমন শত শত বাসিন্দাকে তারা আটক করে রেখেছে। অভিযোগ রয়েছে তালেবানরা বেশ কয়েকজন বন্দীকে হত্যা করেছে, এদের মধ্যে অনেকে প্রাদেশিক সরকারের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের আত্মীয় এবং পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্য।
আরেকটি সাম্প্রতিক খবরে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের প্রথমার্ধে আফগানিস্তানে রেকর্ড সংখ্যক বেসামরিক নাগরিকদের হতাহত হয়েছেন। এরমধ্যে নিহতের সংখ্যা এক হাজার ৬৫৯ জন এবং আরও তিন হাজার ২৫৪ জন আহত হয়েছেন। আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহারকে সামনে রেখে গত মে মাসে সহিংতার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় মূলত এ রেকর্ড হয়েছে।
ইউএনএএমএর আফগানিস্তান প্রোটেকশন অব সিভিলিয়ানের হালনাগাদ তথ্যে পাঁচ হাজার ১৮৩ জন বেসামরিক ব্যক্তির হতাহতের কথা বলা হয়েছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ৪৭ শতাংশ বেশি। অবশ্য তালেবানদের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে হতাহতের এই সংখ্যা নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়েছে। এই তথ্য একপাক্ষিক বলেও দাবি করেছে তারা।
সূত্র: এএনআই